‘যেকোনো হুমকিতে ঝুঁকিতে পড়বে বিশ্ববাজারের জ্বালানি সরবরাহ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরান
ছবি: এএফপি

পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতরীতে খুব সহজেই হামলা চালাতে পারবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং যেকোনো ধরনের হুমকি বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ ইরানি সামরিক কর্মকর্তা।-খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা যখন টগবগ করছে, ঠিক তখন গতকাল শুক্রবার আঞ্চলিক সংকটের জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করেছে তেহরান। এতে পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের শঙ্কা, যেকোনো সময় প্রকাশ্য সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মার্কিন রণতরীতে খুবই সহজে আঘাত হানতে সক্ষম ইরান

বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উপ কমান্ডার জেনারেল সালেহ জোকার বলেন, যদি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে বিপর্যয় নামবে। এছাড়া ইরানের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতরীতে খুবই সহজে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

universel cardiac hospital

আসছে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ চাপ

ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ চাপ আসছে। যার মধ্যে পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফা সরে এসে তেহরানের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিতে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হচ্ছে। এসব মার্কিন উদ্যোগের অনিবার্য প্রতিক্রিয়া আসাটাই স্বাভাবিক।

যুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে গেছে দুই দেশ

বৃহস্পতিবার বিপ্লবী গাডর্সের আরেক কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি বলেন, পূর্ণোদ্যমে যুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে গেছে দুই দেশ। ইসলামি বিপ্লবের জন্য চূড়ান্ত মুহূর্ত এখন। কারণ শত্রুরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে যুদ্ধে মাঠে জড়ো হয়েছে।

অর্থনৈতিক মরণকামড়ে দুর্ভোগ ইরান

অর্থনৈতিক মরণকামড়ের কারণে ইরানের ভেতর দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। কাজেই আঞ্চলিক ছায়া নেটওয়ার্ককে টিকিয়ে রাখা দেশটির জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ ইরানের পররাষ্ট্রনীতির পরিকল্পনায় এসব নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।

ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এটিই দেশটির মারত্মক ঘাটতি

সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে মারত্মক ঘাটতির মধ্যে রয়েছে দেশের বিভিন্ন বিভাগ।

সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের পর ও তার জায়গায় ইরাকি শিয়াদের স্থলাভিষিক্ত করার পর মধ্যপ্রাচ্যে গত ১৫ বছর ধরে ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।

২০১১ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার হওয়ার আগে আল কুদস ফোর্সের মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানির তত্ত্বাবধানে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো ভয়ঙ্কর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

পেন্টাগনের মূল্যায়ন হচ্ছে, ইরাকে মার্কিন যুদ্ধের ২৫ শতাংশের ক্ষয়ক্ষতির জন্য শিয়া গোষ্ঠীগুলো দায়ী।

আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হওয়ার পর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র একই পক্ষ হয়ে মাঠে ছিল। মধ্যইরাক ও ফালুজায় ইরাকি বাহিনীর পাশাপাশি শিয়া ইউনিটসকে বিমান সহায়তা দিয়েছে মার্কিন বাহিনী।

২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থার প্রশমন ঘটেছিল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে