এক মৌসুম ব্যবধানে আবারও ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৭ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এই টুর্নামেন্টটি চালু করে বাংলাদেশকে স্বাগতিক করে। গত বছর যৌথভাবে আয়োজন করে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এবছর আবারও ফিরছে বাংলাদেশে।
আগামী ১২ থেকে ২৫ নভেম্বর মাঠে গড়াবে আট দেশের অংশগ্রহণে উদীয়মানদের এই টুর্নামেন্ট। আসরের ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত করেনি বিসিবি। আগেরবার গ্রুপপর্ব হয়েছিল কক্সবাজারে। দু’টি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
ইমার্জিং কাপের জন্য বাংলাদেশ দল গড়া হবে মূলত বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে। শনিবার থেকে মিরপুরে শুরু হওয়া ক্যাম্পে যে ২৩ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে, তাদের সবার বয়স ২৩ এর মধ্যে। আর ইমার্জিং কাপে খেলার পরিধিও অনূর্ধ্ব-২৩। যদিও স্কোয়াডে চারজন ক্রিকেটার রাখা যাবে যাদের বয়স ২৩ পেরিয়েছে। একাদশে খেলানো যাবে তিনজন। হতে পারেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারও।
এ ব্যাপারে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার কায়সার আহমেদ বলেন, এইচপি ক্যাম্প নিয়ে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের টেকনিকে যে সমস্যা আছে বিশেষজ্ঞ কোচদের অধীনে সেটি শুধরে নেয়া, সামনে যে ক্রিকেট মৌসুম আছে সেটির জন্য তৈরি করা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক, ঘরোয়া ক্রিকেট হোক, যত খেলা আছে তার জন্য প্রস্তুত করা। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমাদের অনুশীলন পর্ব চলবে।
তিনি বলেন, এবার আরেকটা লক্ষ্য আছে সেটি হল আগামী ১২-২৫ নভেম্বর আমাদের দেশে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ হবে। ওটার জন্য দল তৈরি করা এইচপি’র মাধ্যমে। আরেটা ব্যাপার হচ্ছে, এইচপি স্কোয়াড নিয়ে আগস্টে আমাদের শ্রীলঙ্কা সফরের পরিকল্পনা আছে। সেখানকার সার্বিক অবস্থা যদি ভালো হয়। আমাদের বোর্ড যদি পর্যবেক্ষণের পর মনে করে নিরাপদ। যদি আশ্বস্ত হওয়া যায় তখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আগস্টে দু’টি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে খেলার জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল এবং আছে।
ইমার্জিং কাপ হবে ওয়ানডে সংস্করণে। ৫০ ওভারের ম্যাচের টুর্নামেন্টে আট দলের মধ্যে থাকবে এশিয়ার চার টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। তবে এই চার দল খেলবে মূলত তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলাতে পারবে ৪ জন করে। টুর্নামেন্টের অন্য চার দল আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং খেলবে জাতীয় দল নিয়ে।
এইচপি ক্যাম্পের ব্যাপ্তি চার মাস। সেপ্টেম্বরে শেষ হবে সব কার্যক্রম। ইমার্জিং কাপের জন্য স্কোয়াড গঠন করা হবে এখান থেকেই। আর বিসিবির এলিট ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাদের নিয়েও বিদেশ সফরের পরিকল্পনা আছে বিসিবির।
জাতীয় দলের নির্বাচকরা ‘এ’ দল থেকে কাউকে সুযোগ দিতে পারেন ইমার্জিং কাপের খেলতে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিদেশ ট্যুরের ব্যস্ততা থাকায় ইমার্জিং কাপে থাকবে না যুবাদের প্রতিনিধি।
আগস্টে এইচপি দল শ্রীলঙ্কা সফর করতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করছে দেশটির সামগ্রিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর। গত মাসে কলম্বোর গির্জায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল সবাইকে। এখনও স্বাভাবিক হয়নি সেখানকার পরিস্থিতি। এরইমধ্যে জুলাইয়ে দেশটিতে সফরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল আমন্ত্রণ পেলেও বিসিবি একরকম ‘না’ই করে দিয়েছে।