আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খুলনা-ঢাকা রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ঈদের ৫ দিন আগে চালু হয়ে ৭ দিন পর চলাচল বন্ধ হবে এ ট্রেনের।
তবে ঈদের অগ্রিম টিকিটের অর্ধেক মোবাইল অ্যাপে পাওয়া গেলেও বিশেষ ট্রেনের সকল টিকিট যাত্রীরা কাউন্টার থেকেই পাবেন।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গত বুধবার রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। খুলনা-ঢাকা রুটে খুলনা ঈদ স্পেশাল নামে চলাচল করবে একটি ট্রেন। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে ঈদের ৭ দিন পর পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২২ মে থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে এবং তা চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। আর ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
সে হিসেবে খুলনা রেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে ৩১ মে যাত্রার টিকিট পাওয়া যাবে ২২ মে। একই সঙ্গে ১, ২, ৩ ও ৪ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে যথাক্রমে ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ মে।
ঈদ শেষে ফেরার জন্য ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট যথাক্রমে ২৯,৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন মিলবে। কাউন্টার থেকে একজন ব্যক্তি বা যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। থাকবে পৃথক নারী কাউন্টারও।
ঈদের সময় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়া ঈদের তিন দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্য কোনো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চলাচলের দিন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না।
ঢাকায় বসবাসকারী খুলনায় কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন কুমার বিশ্বাস বলেন, ট্রেনের সেবা আগের থেকে ভাল হয়েছে। এবার কিছুটা হলেও যাত্রাপথে ভোগান্তি কমবে।
খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, যাত্রীরা ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং বাকি টিকিট স্টেশন কাউন্টার থেকে অগ্রিম ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল অ্যাপের কোনো টিকিট বিক্রি বাদ থাকলে সেগুলো কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে। তবে বিশেষ ট্রেনের কোনো টিকিট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না।