আদালতের আদেশ সত্ত্বেও বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের টাকার কিছু অংশ পরিশোধ না করায় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আদালতে গ্রিনলাইনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ওজিউল্লাহ। পা হারানো রাসেল সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামসুল হক রেজা।
শুনানির শুরুতে আইনজীবী মো. ওজিউল্লাহ আদালতকে বলেন, আদালতের সর্বশেষ আদেশের পর গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের আইনজীবী হিসেবে আমার নাম প্রত্যাহার করতে চাই।
এসময় পা হারানো রাসেল সরকারের আইনজীবী শামসুল হক রেজা বলেন, আমাদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করছে না গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। রাসেলকে চিকিৎসা খরচ বাবদ তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর আর কোনও খরচও দিচ্ছে না। এজন্য হাসপাতাল থেকে বাসায় এসে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে তাকে।
তখন আদালত বলেন, আমরা অনেক নমনীয়ভাবে কথা বলেছি। গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ কখনও বলেনি যে, আমাদের এই সমস্যা, আমরা এত টাকা দিতে পারবো না। আবার রাসেলের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করে বিষয়টা মীমাংসা করারও চেষ্টা করেনি। যারা ব্যবসা করে তাদের মানবিক মূল্যবোধ থাকা উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের আচরণ আমাদের কাছে ভালো লাগেনি। আমাদের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না। আমরা কঠোর হতে চাই না। আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। তারপরও তাদের (গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অনুপস্থিতিতে আমরা আজ আদেশ দিতে চাই না। প্রয়োজনে রুল শুনানির পর যা করার দরকার, তাই করবো।
আদালত গ্রিনলাইনের পরিবহন কর্তৃপক্ষের আইনজীবী মো. ওজিউল্লাকে বলেন, আপনি যেহেতু এখন পর্যন্ত তাদের আইনজীবী আছেন, আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
এরপর আদালত মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ জুন দিন নির্ধারণ করেন এবং এই সময়ের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন।