অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া থেকে নামতে গিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ জন পর্বতারোহী প্রাণ হারালেন। গত এক সপ্তাহে এভারেস্টে যত জন পর্বতারোহী মারা গেছেন, গত বছর সব মিলিয়েও সেখানে মৃতের সংখ্যা এত ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার এভারেস্ট জয় করে নামার পথে এই তিন পর্বতারোহী মারা যান। মারা যাওয়া পর্বতারোহীদের মধ্যে দুজন ভারতের ও একজন অস্ট্রিয়ার নাগরিক। নিহতরা হলেন—ভারতের কল্পনা দাস (৫২) ও নিহাল বাগওয়ান (২৭)।
৬৫ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান নাগরিকের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভারতের দুজন নেপালের দিক দিয়ে ও অস্ট্রিয়ার পর্বতারোহী উত্তর তিব্বতের দিক দিয়ে এভারেস্ট জয় করেছিলেন।
- আরও পড়ুন >> বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সুসংবাদ থাকছে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এভারেস্টের চূড়ায় প্রচণ্ড ভিড়ে আটকে পড়ে অক্সিজেন সংকটে পড়ে মারা গেছেন এই পর্বতারোহীরা। স্থানীয় এক সংগঠক কেশব পাউডেল এএফপিকে বলেছেন, ‘ভিড়ের কারণে তাঁরা এভারেস্টের চূড়ায় প্রায় ১২ ঘণ্টা আটকে ছিলেন। এরপর তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।’
এই মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্বতারোহী এভারেস্টে ওঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে নেপাল ৩৮১ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এক বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্বতারোহীর এভারেস্টে ওঠার রেকর্ডটা এ বছর ভেঙে যেতে পারে। গত বছর সর্বোচ্চ ৮০৭ জন পর্বতারোহী এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন। এভারেস্টে উঠতে একজন পর্বতারোহীর খরচ পড়ে প্রায় ১১ হাজার ডলার বা ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
এর আগে গত বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন ভারতীয় ও একজন মার্কিন নাগরিক। গত ১৬ মে একজন আইরিশ অধ্যাপকও একইভাবে মারা গিয়েছিলেন। গত বছর এভারেস্টে পাঁচজন পর্বতারোহী মারা গিয়েছিলেন।
প্রতি বছরই এভারেস্টে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় এভারেস্টে উঠতে ইচ্ছুক পর্বতারোহীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।