বলা হচ্ছে দর্শকরা উপহার পেতে চলেছেন রানবন্যা বইয়ে দেয়া এক বিশ্বকাপের। অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলে অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি। যারা ব্যাটে-বলে ম্যাচে প্রভাব রাখতে সক্ষম। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান যেমন আছেন, তেমনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল কিংবা ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া আছেন যাদের মধ্যে।
ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস তো নিজের দিনে ব্যাট কিংবা বলে উড়িয়ে দিতে পারেন যেকোনো প্রতিপক্ষকেই। আফগানিস্তানের ভরসার নামই সেখানে রশিদ খান। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এই অলরাউন্ডারদের থেকে ব্যাটে-বলে দারুণকিছু আশা করতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা-
সাকিব আল হাসান
২০০ ওয়ানডের মাইলফলক পূর্ণ হতে বাকি ২ ম্যাচ। আরেকটি উইকেট পেলে হবে ২৫০টি। দারুণসব অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনে ব্রহ্মাস্ত্র হতে চলেছেন সাকিব। আসর শুরুর আগে পেয়েছেন সুসংবাদ, আইসিসি টেবিলে সেরা অলরাউন্ডারের সিংহাসনটা রশিদ খানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভালো কিছু করতে হলে সাকিবের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখতে হবে টাইগার দলপতি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে।
আন্দ্রে রাসেল
আইপিএল থেকে বিধ্বংসী ফর্ম নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস-অলরাউন্ডার রাসেল। এবারের আইপিএলে একাই মেরেছেন ৫২টি ছক্কা। যদি ৫০ ওভারের শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেন তাহলে কপালে শনি আছে প্রতিপক্ষের! ২০১৭ সালে ডোপিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর যে ফর্মে আছেন, তাতে ক্যারিবীয়দের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারেন আন্দ্রে রাসেল।
হার্দিক পান্ডিয়া
ছোট ক্যারিয়ারে খ্যাতি এবং বিতর্ক উভয়ই দেখেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। পড়েছেন চোটেও। তবে ফর্ম শুরুর মতই আছে। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপে শেষ আঁচড় দেয়ার ভারটা পান্ডিয়ার কাঁধে। পাশাপাশি গতিময় বোলিংয়ে বুমরাহ, ভুবনেশ্বরদের যোগ্য সহযোগিতাটা দিয়ে যান পান্ডিয়া।
বেন স্টোকস
মাঠে ভীষণ রকম আগ্রাসী এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের জন্য হতে পারেন বিশেষ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া স্টোকস চান নিজের প্রথম বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে দিতে। ব্রিস্টলের নাইটক্লাবে মারামারি কাণ্ডের পর ফিরে সেরকমভাবে জ্বলে ওঠা হয়নি ইংলিশ অলরাউন্ডারের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্যগত সিরিজে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্বকাপে বল-ব্যাটে উঠতে পারে স্টোকস-ঝড়!
মার্কাস স্টয়নিস
২০১৭ সালে মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ইনিংস খেলেন স্টয়নিস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাতে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪৬ রানের অসাধারণ ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন অজি অলরাউন্ডার। যদিও ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত হেরেছিল। সেই ম্যাচে প্রতিভার স্বাক্ষরটা ঠিকই রাখতে পেরেছিলেন স্টয়নিস। বিশ্বকাপে লোয়ারঅর্ডার ব্যাটিংয়ে তার দিকে নজর থাকবে অস্ট্রেলিয়ার।
রশিদ খান
ছোট দলের বিশ্বখ্যাত তারকা। মাত্র ২০ বছর বয়সে আফগানদের প্রধান ভরসার নাম রশিদ খান। শুরুতে লেগস্পিনে বিশ্ব মাতালেও পরে নিজের ব্যাটিং সক্ষমতার জানান দিয়ে চলেছেন আফগান সহ-অধিনায়ক। সাকিবের কাছে জায়গা হারানোর আগে তিনিই ছিলেন বিশ্বের সেরা ওডিআই অলরাউন্ডার। ১০ দলের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে রশিদই হবেন আফগানদের সেরা অস্ত্র!