ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মূল আসামী হাসিবুল। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো দুইজন। আরেকজনের খোঁজ চলছে। পুলিশ বলছে, এরা সবাই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য; সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে বিভিন্ন উপায়ে ছিনতাই করতো তারা।
জিসানের খোঁজ না পেয়ে গত ১২ই মে গাজীপুরের গাছা থানায় এবং ১৬ই মে রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। এরপর, জিসানের শেষ মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে হাসিবুলকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুসারে তার বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় জিসানের মরদেহ।
রাইড শেয়ারিং ’পাঠাও’-এ নিজের মোটরসাইকেল চালাতেন জিসান। গত ১২ই মে জিসানকে ঢাকা থেকে হোটেল ব্যবসায়ী হাসিব নিজ এলাকায় গাজীপুরের কামারজুরি যাওয়ার জন্য ভাড়ায় নেন। এরপর থেকেই জিসান নিখোঁজ ছিলেন।
- আরও পড়ুন>> স্বামীকে বেধড়ক মারধর করলেন রঞ্জিতা!
শের-ই বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে সে (জিসান) যখন গাজীপুর পৌঁছান, তখন সন্ধ্যা হয়েছিলো। এ সময় তিনি (হাসিব) বলেন তুমি ঢাকা থেকে কষ্ট করে এসেছো, তুমি আমার সঙ্গে ইফতার খাও। সে তার সঙ্গে ইফতার করায় এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে সেপটিক ট্যাঙ্কিতে মরদেহ ঢুকিয়ে তা প্লাস্টার করে দেয়, যেন গন্ধ না বের হয়।’
জিসান হত্যায় হাসিবুল ছাড়াও তিনজন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে হাসিবুলের স্ত্রী সজনী এবং শাওন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ এই চক্রটি সাভার ও গাজীপুর এলাকায় বিভিন্ন উপায়ে মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নিতো।
জানে আলম বলেন, ‘কিছু দিনের জন্য তারা (সংঘবদ্ধ চক্র) একটা বাসা ভাড়া নেয়, সে বাসার ভেতরে তেমন কোনো মালসামানা থাকে না। সেখানে তারা মাদক সেবন করে, বা কেউকে করায়। তাদের ভাষায় ‘মুরগি’ বানায়। যে কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে যা পায়, যতটুকু পায় নেয়ার চেষ্টা করে।’
এদিকে, আটক তিন আসামীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে রবিবার হাসিবুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।