সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘অন টাইম’ সার্ভিস এই প্রথম (আমিরাতের বাইরে) বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে।
গত সোমবার দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জানানো হয় যে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দু’টি আলাদা সার্ভিস সেন্টার চালু করা হবে। অনটাইম সম্প্রতি তার সেবাসমূহ গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষে তাদের কার্যক্রম বিদেশে সম্প্রসারনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষে বাংলাদেশে তাদের এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এবং যা ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন টাইম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিদ বিন আব্দুল কারিম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সার্বিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে দুবাই কোর্ট, ইজারি, দুবাই ইকোনমি, মেডিক্যাল, নতুন আইডি, ডকুমেন্ট ক্লিয়ারিং, নতুন ব্যবসা শুরুসহ সরকারি কাজগুলো ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদান করবে।
তিনি আরো বলেন, এটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও সরকারি নির্ধারিত ফি-এর মাধ্যমে কাজ করবে। তবে এই প্রতিষ্ঠানটি জনশক্তি রপ্তানি করে না।
আমিরাত ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ২৭টি শাখার মাধ্যমে ২.৩ মিলিয়ন গ্রাহককে পরিসেবা দিয়েছে। মূলত এটি অন্যান্য দেশের ভিসা প্রসেসিং করণের মতোই একটি প্রতিষ্ঠান। যারা সেই দেশের সরকার, ব্যুরো অব ম্যান পাওয়ার, রিক্রুটিং এজেন্টকে ভিসা প্রক্রিয়া করতে সহযোগিতা করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ ভিসা গ্রহণকারীরা নিরাপদভাবে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারবে। সম্প্রতি ‘অন টাইম’ তাদের সেবাসমূহ বিদেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংবাদ সম্মেলনের ‘অন টাইম’ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, ‘আমিরাতে বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ বিভিন্ন পেশায় জড়িত রয়েছে। অন টাইম সার্ভিসের মাধ্যমে প্রবাসীরা খুব দ্রুত সময়ে আমিরাত সরকারের সার্ভিস পাবেন। খরচ যেমন সাশ্রয়ী হবে পাশাপাশি প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় শ্রম বাজার। তাই দেশের একটি বড় অংশ এই আমিরাতে বিভিন্ন কাজ-কর্ম ব্যবসায় জড়িত আছেন। তাই তাদের সুবিধার্থে অন টাইম সার্ভিসের যাত্রা শুরু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করেন।