ঈদযাত্রা : জোড়াতালি আর রঙের প্রলেপের লঞ্চে মৃত্যুফাঁদ!

বিশেষ প্রতিবেদক

জোড়াতালি আর রঙের প্রলেপের লঞ্চে মৃত্যুফাঁদ!
ছবি : সংগৃহিত

ঈদ উপলক্ষে ধারণক্ষমতার বাইরে নির্দিষ্ট আকারের থেকেও জোড়াতালি দিয়ে বড় করা হচ্ছে পুরনো লঞ্চগুলো। রাজধানীর অদূরের ডকইয়ার্ডগুলোতে লঞ্চ মেরামতের নামে দেদারসে চলছে অনিয়ম।

জানা যায়, হাতুড়ি পেটা, রঙের প্রলেপ আর ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের ফুলকি এমন তাড়ায় ব্যস্ত ডকইয়ার্ডের শ্রমিকরা। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রী বহনে পুরনো লঞ্চ মেরামতেই তাদের ব্যস্ততা।

ফিটনেসবিহীন লঞ্চে জোড়াতালি ও রঙের প্রলেপের আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর মৃত্যুফাঁদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঝুঁকির মুখে সাধারণের জীবন।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে অকপটেই স্বীকার করে ডকইয়ার্ডের ঠিকাদাররা বলছেন, ঈদের সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা অনিয়ম করে থাকলেও ডকইয়ার্ডের সংশ্লিষ্টরা সতর্ক থাকায় এর মাত্রা কমে এসেছে অনেকটা।

ঢাকা সি বিল্ডার্স গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল সোবহান বলেন, টুকিটাকি ২-১টা লঞ্চে মালিকরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। কম পয়সা দিয়ে কাজ করাবে। অনুমোদন ছাড়া কাজ করাবে। সরকারি লোকজনের এসব দিক তদারকি করা উচিৎ।

ঝড়ের মৌসুম হওয়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে, তাই কর্তৃপক্ষের কার্যকরী ভূমিকা খুব জরুরি বলে মনে করছেন নৌ-পথের দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা।

বুয়েটের এ আর আই প্রভাষক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এত কম সংখ্যক সার্ভেয়ার আছে যা দিয়ে আসলে এত সংখ্যক নৌযানকে সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হয় না।

অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে কোনো অনিয়মের বিপরীতে জিরো টলারেন্সে আছেন তারা।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বলেন, ফিটনেস ছাড়া আমরা কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেব না। এছাড়াও অতিরিক্ত যাত্রী যেন না হয় সেদিকেও আমাদের অন্য সংস্থা নজরদারি করবে।

ঈদের সময় তাড়াহুড়ো করে অতিরিক্ত যাত্রী না হয়ে লঞ্চে না ওঠার পাশাপাশি যাত্রীদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে