খ্যাতিমান ব্রান্ড আড়ংকে মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে একই পণ্য দ্বিগুণ দামে বিক্রি করার দায়ে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হলো। শাস্তি হিসেবে একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আড়ংয়ের উত্তরার আউটলেটটি।
আজ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযোগ পেয়ে তা যাচাই করতে যায়। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের জরিমানা করা হয়।
টাঙ্গাইলের কুমুদিনি ওমেন্স মেডিকেলের চিকিৎসক ইবরাহীম খলিলের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই জরিমানা করেন।
ইবরাহীম খলিল বলেন, আমি গত ২৫ মে উত্তরা আড়ং থেকে একটি ড্রেস কিনি। যার মূল্য ছিল ভ্যাট ছাড়া ৭০০ টাকা। পরে আমার ছোট ভাই ৩১ মে একই ড্রেস এই আউটলেট থেকে কিনেন ১৩শ টাকা দিয়ে। অথচ একই কাপড়, একই ডিজাইনের পোশাকটির দাম ৬০০ টাকা বেশি নিয়েছে তারা। তাই আমি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেছি।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার মতও পথকে বলেন, আমরা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এসে আড়ংয়ে যা দেখলাম সেটা সত্যি দুঃখজনক। এখানকার ম্যানেজার নানা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু যতটুকু আইনকানুন পড়াশোনা করেছি তাতে দেখেছি এতে গ্রাহকের কোনো কথা নেই। আমরা তাদেরকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছি। অন্যদের যাতে শিক্ষা হয় সেজন্য প্রতীকী হিসেবে ২৪ ঘণ্টার জন্য আউটলেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
- পুলিশের গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ৩ পোশাককর্মীর
- বিএনপি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ : কাদের
- ইভিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক মমতার
তিনি বলেন, আড়ংয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অনেক টাকা এখানে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আউটলেটের অসাধু কর্মকর্তা এমন কাজ করে থাকেন।
তবে এ ঘটনার পর বিকেলে ব্যাখ্যা দিয়েছে আড়ং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি দ্বিগুণ দাম নেয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম সোমবার বিকালে বলেন, ক্রেতাদের সুবিধাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আড়ং কখনোই কোনো উৎসবের আগে অধিক লাভের জন্য পণ্যের দাম বাড়ায় না। মোবাইল কোর্টের অভিযানের পরপরই এ বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে আড়ং কৃর্তপক্ষ জানতে পারে যে ভুলবশত কয়েকটি পণ্যে অন্য পণ্যের ট্যাগ লাগানো হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল এবং আড়ং সকল ক্রেতাবৃন্দের কাছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।