ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে নিজেদের দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তবে দলের আরেক নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে আরেকজন পদে না আসা পর্যন্ত তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতাও থাকবেন। কিন্তু এই বাকি সময়ে তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নিতে চান না।
এর আগে গত ২৪ মে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে একটি আবেগময় বিবৃতি দিয়ে নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ৭ জুন তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তবে কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন।
এদিকে, আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বা দলের নেতা নির্বাচিত করার সম্ভাব্য তালিকায় দেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসহ ১১ জন কনজারভেটিভ পার্লামেন্ট মেম্বার রয়েছেন।
নেতা এবং শেষপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে আগামী সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ওইদিন বিকেল ৫টার মধ্যে যার যার নমিনেশন পেপার জমা দিতে হবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন ১১ জনের মধ্যে কয়েকজন ঝরেও পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২৪ মে বিবৃতিতে টেরিজা মে বলেন, ২০১৬ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফলাফলকে সম্মান জানানোর জন্য আমি আমার সেরা কাজটি করতে যাচ্ছি। খুব শিগগির আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। এটা আমার সম্মানের। এছাড়া আমি আমার দেশ ভালোবাসি। দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, আশা করি পরবর্তী কনজারভেটিভ নেতা যিনি নির্বাচিত হবেন বা যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে সফল হতে পারবেন।
ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের নতুন কর্মপরিকল্পনা মন্ত্রিসভা এবং পার্লামেন্টে পাস হবে না চূড়ান্তভাবে জেনেই তিনি পদত্যাগ করলেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
দেশটির মন্ত্রিসভা এবং পার্লামেন্টে অন্তত কয়েকবছর ধরে ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক চলছিল। টেরিজা মে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চাইলেও তার মন্ত্রিসভা এবং পার্লামেন্ট সেটার অনুমোদন দেয়নি।