ফজল মাহমুদের পাসপোর্টকান্ডে এসআই কামরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

ফজল মাহমুদের পাসপোর্টকান্ডে এসআই কামরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত
পাইলট ফজল মাহমুদ। ফাইল ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কামরুজ্জামানকে পাসপোর্ট না দেখেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ শনিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, বিমানের জেনারেল ডিক্লারেশন (জিডি) দেখেই ইমিগ্রেশন করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়। এখানে দু’জনেরই সমান দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে শনিবার দুপুরে র‌্যাব সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেননি।

তিনি বলেন, পাইলট ভুল করেই এটা করেছেন। বিমানবন্দরে দুই-তিন জায়গায় চেক হয়। তারপরও তিনি চলে গেছেন। আমাদের ইমিগ্রেশনে তিনি ফিংগার প্রিন্ট দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ জেনারেল ডিক্লারেশন দেখেছেন। পাসপোর্ট দেখতে চাইলে সবসময় পাইলটরা বলেন, পকেটে আছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গত বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমানের একটি ফ্লাইটে কাতারের উদ্দেশে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের স্টাফদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেননি তিনি। এরপর কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

তবে ফজল মাহমুদ দাবি করেন, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ভুলবশত সঙ্গে পাসপোর্ট না নেয়ায় তিনি বিমানবন্দরের ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে ছিলেন। পরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়। সেই পাসপোর্ট নিয়ে গতকাল সহজভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিমান নির্ধারিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে গিয়ে ওঠেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে