রোববার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন কালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বলেন, পুর্ণ নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠানো হবে না।
এসময় মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিকট তাদের সমস্যার কথা জানতে চান। জবাবে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাত্রিকালীন নিরাপত্তা নেই। এনজিওরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে দায়সারাভাবে কাজ করছে।
এসব অভিযোগের কথা মন্ত্রী গভীর মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং উক্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ ও দূর্ভোগের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হবে বলে জানান মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী।
আরকান সোসাইটি ফর ইফস হিউম্যান রাইটসের সভাপতি মাস্টার মহিবুল্লাহ মন্ত্রীকে বলেন, মিয়ানমার সরকার তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে না। আশিয়ান ২ বছরে ৫ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরৎ নেয়ার যে কথা বলছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরার স্বাধীনতা না দিলে এবং জমিজমা, শিক্ষা ব্যবস্থা না করলে কখনো রোহিঙ্গারা ফেরৎ যাবে না।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নাহিয়ান আদনান তাহিয়ান, ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম, পাবেল।
এছাড়াও রোহিঙ্গা নেতাদের পক্ষে মাস্টার রহিম, মহিবুল্লাহ, কামাল, ইলিয়াছ, শফিক, হাজী ওলি উল্লাহ, নকিব, সলিম, ছৈয়দ, সাদেক। মহিলা নেত্রীদের মধ্যে সিরাজুন নেসা, রশিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মতবিনিময় শেষে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ত্যাগ করেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী।