ভারত টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৫২ রান সংগ্রহ করার পর জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে তুমুল লড়াই চালায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত জয় হলো ভারতেরই। অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া।
বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় এবং মহারণ ছিল এই ম্যাচ। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই। বিশ্বকাপের অন্যতম দুই দাবিদার। তাদের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। সমর্থকদের নিরাশ করেননি দুই দলের ক্রিকেটাররা। মন ভরিয়ে দিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন তারা। বিশেষ করে ভারত।
দেশটির যেমন সমর্থক বেশি, তেমনি তাদের ক্রিকেটাররাও খেলেছেন নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ। শিখর ধাওয়ান করলেন সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা করলেন হাফ সেঞ্চুরি। হার্দিক পান্ডিয়া, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা লোকেশ রাহুলরা ব্যাট হাতে বইয়ে দিয়েছেন চার-ছক্কার ঝড়। সব মিলিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের জন্য ছিল এক উপভোগ্য ম্যাচ।
কোহলিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ৩১৬ রানে। অসি ব্যাটসম্যানরাও বলতে গেলে ম্যাচটাকে একেবারে ক্লোজ করে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকট পড়তে থাকার কারণে, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা।
দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারোন ফিঞ্চ মিলে শুরুটা করেছিলেন ভালো। প্রথমে কিছুটা স্লো ব্যাটিং করলেও দু’জন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে ফিঞ্চ রানআউট হয়ে গেলে বিপদ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। তবুও ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ মিলে গড়েন ৭২ রানের দারুণ এক জুটি।
যদিও ওয়ার্নার আজ ছিলেন খুবই স্লো। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ৮৪ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ৫৬ রান। ৫টি বাউন্ডারি মারলেও কোনো ছক্কার মার নেই তার ব্যাটে।
স্মিথ ৭০ বল খেলে করেন ৬৯ রান। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। উসমান খাজা করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমেই চেষ্টা করেন ঝড় তোলার। ১৪ বলে ২৮ রান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনের সামনে কুলিয়ে উঠতে পারলেন না। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন।
- মালয়েশিয়ায় আটক ২৮ হাজার অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশি ৫ হাজার
- তিস্তা নিয়ে বেশি না ভাবতে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মার্কাস স্টোইনিজ শূন্য রানে আউট হলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারে দারুণ ব্যাটিং করেন। মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে তিনি অপরাজিত থেকে যান ৫৫ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে।
ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহ নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। দুটি হলো রানআউট।