প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখন বিমানে উঠি তখন নিউজ হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানের চাকা ঠিক নেই, বিমানে পাইলট পাসপোর্ট নেয়নি। কোনো কারণে বিমানের পাইলট পাসপোর্ট নিতে ভুলে যেতে পারেন। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
তিনি বলেন, তবে কীভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই পাইলট বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন, ইমেগ্রেশনে কেন তা চেক করা হয়নি, ইমেগ্রেশনে করা ছিল, কেন দেখে নাই ইত্যাদি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।
কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা
তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কীভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হলেন এ বিষয়ে জানতে মাঠে নেমেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে তিনি দেশে ফেরেন।