সড়কে অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনায় প্রতিদিন ঝড়ছে বহু মূল্যবান প্রাণ। ঈদ কিংবা বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ফেরা আমাদের দেশের একটি পুরোনো সংস্কৃতি। এই ঘরে ফেরার যাত্রা সবসময় উৎসবমুখর হবে- এটিই আমাদের প্রত্যাশা। তবে ঈদ কিংবা অন্যান্য উৎসবে কর্মজীবী মানুষগুলোর ঘরে ফেরার যাত্রায় সড়ক ও মহাসড়কে অপ্রত্যাশিত কিছু দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ শেকড়ের সন্ধানে বাড়ি ফিরে। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌপথে ৫ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার তথ্য মতে, ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি কার-মাইক্রো, ৩০টি নছিমন-করিমন, ৬৪টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিলো।এরমধ্যে ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষ, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এসব দুর্ঘটনা রোধে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ সমূহকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককেই সড়কে এধরনের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর মিছিল রোধে এগিয়ে আসতে হবে।
- আরও পড়ুন >> নদী দখলকারীরা খুনিদের মতো অপরাধী
- আরও পড়ুন >>জনাব আহমদ শফিদের চিন্তাধারা মধ্যযুগীয়