২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে

মত ও পথ রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

universel cardiac hospital

সম্মেলনে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেকারত্ব ঘুচাতে স্টার্টআপ ফার্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট সেই লক্ষ্যমাত্রার পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি খাতের উন্নয়নে ২০ শতাংশ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে।

গ্রামের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম হবে আধুনিক শহর।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আরও গতি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে ফাইভ-জির ব্যবস্থা করা হবে।

প্রসঙ্গত, সংসদে বাজেট দেয়ার পর দিন বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার রেওয়াজ ছিল অর্থমন্ত্রীর। এবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে অসুস্থ অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে এসেছিলেন নিজের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করতে। কিন্তু বক্তৃতা শুরু করেও বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। তার বাকি বক্তৃতা পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।

গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকাল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভব না হওয়ায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে