আটকে গেল সাবেক সংসদ সদস্য রানার জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট

টাঙ্গাইলের দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন চেম্বার আদালতে আটকে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনে চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে।

ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

এর ফলে সাবেক এমপি রানাকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রাষ্ট্রপক্ষে এদিন শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ। রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

রানার জমিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়।

ওই রায় স্থগিত করার আবেদন নিয়েই বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতে এসেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটর সাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হলে পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ।

পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যার ঘটনায় আমানুর রহমান খান রানার নাম উঠে আসে।

গ্রেপ্তাররা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, রানার নির্দেশেই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালত গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে তার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আসেন।

তাদের আবেদন শুনে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৬ মার্চ রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুল জারি করে। রানাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় সেই রুলে। 

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ২৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় রুল শুনানি শেষে বুধবার হাই কোর্ট যে রায় দেয়, তাতে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রানাকে জামিন দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সাংসদ রানা এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে