ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন টরি পার্টির সাবেক গণমাধ্যম প্রধান সেমন্ডসের সঙ্গে বসবাস করছেন দেশটির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাদের বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শোনার পর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। শুক্রবার এমন অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে।
দৈনিক গার্ডিয়ানকে এক প্রতিবেশী বলেন, গালাগাল ও ভাঙচুরের পর বাড়িটি থেকে একজন নারীর চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সেমন্ডসকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাকে ছেড়ে দাও’, ‘আমার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাও।’
এতে প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন হয়ে তাদের দরজায় নক করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম, দরজার ভেতর থেকে কেউ একজন সাড়া দিয়ে বলবেন- সব ঠিক আছে। কিন্তু অন্তত তিনবার দরজায় নক করেও কোনো সাড়া আসেনি।
এরপর ৯৯৯-এ ফোন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি ভ্যান চলে আসে। পরে বাড়ির ভেতর সবাই নিরাপদে আছেন জেনে তারা চলে যান।
তবে এক প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, তিনি এক নারীর চিৎকার এবং সবেগে কিছু ছুঁড়ে ভেঙে ফেলার আওয়াজ পেয়েছেন। শব্দ এত জোরে আসছিল যে প্রতিবেশীরা নিজেদের ফ্ল্যাটে বসে সেগুলো রেকর্ড করেছেন।
রেকর্ডে জনসনকে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ‘যাব না’ বলতে এবং এক নারীকে তার ল্যাপটপ ছেড়ে দিতে বলতে শোনা যায়। তারপরই সেখান থেকে প্রচণ্ড শব্দে কিছু ভাঙার আওয়াজ আসে।
- ‘অসহায়’ ভারতকে ২২৪ রানে আটকে দিল আফগানিস্তান
- দেশে ঋণখেলাপি এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ জন : অর্থমন্ত্রী
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড শুরুতেই চাপে
সিমন্ডসকে বলতে শোনা যায়, তুমি কোনো কিছুই পরোয়া করো না, কারণ তুমি নষ্ট হয়ে গেছ। তোমার কাছে অর্থ বা কোনো কিছুর মূল্য নেই।