২০২০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান।
হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের হজ পালনে নির্ধারিত ব্যয় পার্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের ধার্য্যকৃত ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ তথ্যটি সঠিক নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজ পালনের ব্যয় বাংলাদেশে কম।
শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর ব্যয় ছিল অঞ্চলভেদে ২ লাখ ৪৬ হাজার থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৪-৫ লাখ রুপি। অথচ ওই বছরে বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-বি এর হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-এ এর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা।
তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এখানে (বাংলাদেশে) হজযাত্রীদের ব্যয় আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অন্যান্য বছরের মতো ২০১৯ সালে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না করে ১০ হাজার ১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
- ইরানে হামলার বিষয়টি বাতিল নয়, স্থগিত : ট্রাম্প
- নাইকো মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৪ জুলাই
- আমদানিকৃত স্বর্ণ খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না
মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র হজ গমন ইচ্ছুকগণের অনেকে বিমানের টিকিট না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয় কথাটি সঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সব হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে ২০১৭ সালে এ ধরনের অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।