নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনঃখনন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ১৭৮ নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের পাশাপাশি নৌপথ রক্ষার্থে নদী কমিশন গঠনসহ নদী দখল, দূষণরোধে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী আমাদের প্রাণ, জীবন ও জীবিকার উৎস। ১৯৬০ সালের আগে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু কালক্রমে নৌপথ সংকুচিত হয়ে তা ছয় হাজার কিলোমিটারে নেমে আসে। গত ১০ বছরে ১ হাজার ছয়শ কিলোমিটার নৌপথ খনন করে। ফলে বর্তমানে নৌপথের দৈর্ঘ্য সাত হাজার ছয়শ কিলোমিটার।
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর থেকে প্রায় ১২ হাজার ৩৯৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৩৭২ দশমিক ১২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
- রামের কাহিনি শোনার সময় প্যান্ডেল ভেঙে নিহত ১৪, আহত ৫০
- ইরানে হামলার বিষয়টি বাতিল নয়, স্থগিত : ট্রাম্প
- বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই স্বাধীনতা এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি থেকে প্রায় দুই হাজার ৭৭৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১৯৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, উচ্ছেদের পর পুনর্দখল রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্পেস, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীর পাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান।