সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নাসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সঙ্গে দুদকের এক পরিচালককে ৪০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজানকে তলব করেছে দুদক।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। দুদকের নিজস্ব অফিসে এটি প্রথম মামলা।
এ ছাড়া দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিআইজি মিজানকে ১ জুলাই দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
দুদকের প্রতিবেদনে মিজানের চার কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। মিজানের নামে পাওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বেইলি রোডের রিজ ভবনের চতুর্থ তলায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, একই ভবনের নিচে কার পার্কিংয়ের স্পেসসহ ৫৫ দশমিক ৫১ অযুতাংশ জমি, কাকরাইলে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া তিন কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের জমি ও দোকানের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সিটি ব্যাংকের ঢাকার ধানমণ্ডি শাখায় মিজানের অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকাসহ বেশকিছু সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে প্রতিবেদনে।