১৫ জুলাই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০১৯ উপলক্ষে আজ সোমবার ছাত্রদলের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং প্রার্থীদের আচরণবিধি ও যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের অবশ্যই ২০০০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হতে হবে। বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ করা হবে ২৫ জুন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বুধবার। প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন পত্র বিতরণ করা হবে ২৭ ও ২৮ জুন। প্রার্থীদের নিকট থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ২৯ ও ৩০ জুন।
প্রার্থীতা যাচাই ও বাছাই করা হবে ১, ২ ও ৩ জুলাই। প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই। প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ ৫ জুলাই। প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি নিষ্পত্তি ৬ জুলাই এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ জুলাই।
প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ জুলাই। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ১৫ জুলাই। প্রার্থীরা ১৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন।
আচরণ বিধি
১। প্রত্যেক প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে হবে। কোন ভাবেই প্যানেল দেয়া যাবে না।
২। কোনো প্রকার পোস্টার, ব্যানার এবং গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না।
৩। কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ আপ্যায়ন বা কোনো ধরণের উপহার সামগ্রী দেয়া যাবে না।
৪। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে কোনো প্রার্থী অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।
৫। প্রার্থীগণ ভোট প্রার্থনার জন্য শুধুমাত্র ভিজিটিং কার্ড বা সাদাকালো এফোর সাইজের লিফলেট ব্যবহার করতে পারবেন।
৬। নির্বাচনের দিন প্রার্থীগণ অথবা তার কোনো সমর্থক কোনো প্রকার মিছিল, সমাবেশ, পে-কার্ড, শ্লোগান ভিজিটিং কার্ড এবং লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না।
৭। কোনো প্রার্থী যদি উল্লিখিত আচরণবিধি লংঘন করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রার্থীর যোগ্যতা
১। প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাশ হতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন কপি জমা দিতে হবে।
২। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে নুন্যতম স্নাতক পাশ হতে হবে এবং পাশের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রমাণের জন্য সব সার্টিফিকেটের মূলকপি সঙ্গে আনতে হবে।
৩। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
৪। প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে প্রাথমিক সদস্য সাবেক অথবা বর্তমান পদের প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হবে।
৫। যদি কোনো প্রার্থী কাস্টিং ভোটের ১০ শতাংশ ভোট না পায় তাহলে পরবর্তী কমিটিতে কোনোভাবেই অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।
৬। প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৫ কপি রঙ্গিন ছবি সত্যায়িতসহ দাখিল করতে হবে।
৭। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।