দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ ১৮ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে চার গুণের বেশি। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অর্থাৎ এ সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা চারগুণের বেশি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়।
বেসরকারি বিনিয়োগসহ প্রবাসী আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, রাজস্ব আহরণ, খাদ্যশস্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশের অবস্থান কী ছিল, তা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করে একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৮ বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ১৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। প্রবাসী আয় ৪ দশমিক ৯ থেকে বেড়ে ১৫ বিলিয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৩৩ বিলিয়ন, বেসরকারি বিনিয়োগ ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন থেকে হয়েছে ৭০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
ঋণ জিডিপির অনুপাতে ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ৩২ শতাংশ, শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৫ জন থেকে ২৪ জনে, গড় আয়ু ৬৫ বছর থেকে ৭২ দশমিক ৮ বছর, সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চার হাজার ৩৮৫ মেগাওয়াট থেকে ২১ হাজার ৬২৯ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৯৩ শতাংশ, দৈনিক গ্যাস সরবরাহ এক হাজার ৪৪৩ এমসিএফ থেকে হয়েছে দুই হাজার ৭৪৬ এমসিএফ।
জাতীয় রাজস্ব আহরণ ৪২ হাজার কোটি টাকা থেকে তিন লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, জিডিপির আকার ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩০২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার, বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি (২০১০) ১০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, খাদ্যশস্য উৎপাদন (২০১০) ৩৬০ দশমিক সাত লাখ মেট্রিক টন থেকে হয়েছে ৪২৯ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন।
- শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
- খাদ্যপণ্য নিয়ে ঢাবি শিক্ষকদের রিপোর্টের দায় নিচ্ছে না ফার্মেসি বিভাগ
- জাপানে মোদির সঙ্গে সৌদি যুবরাজের বৈঠক
জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ (২০১৭), দরিদ্র জনসংখ্যার হার ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অতি-দরিদ্র জনসংখ্যার হার ২৪ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে।