কুসুম গরম পানি বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই কমবেশি পান করে থাকে। কারণ এই কুসুম গরম পানি পানের বেশ উপকারিতা আছে। হতে পারে, আমরা অনেকেই কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা জানি না। এ জন্য হয়তো পানও করি না। জেনে রাখা যায়— এই কুসুম গরম পানি অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এ নিয়ে জিনিউজ অবলম্বনে লিখেছেন এস. আর. শশী
১. প্রতিদিন সকালে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি কেউ এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করেন তবে বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া ত্বকে জমাটবাঁধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
২. কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তবে তিনি কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। কারণ কুসুম গরম পানি পানে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হলো মাত্র কয়েক গ্লাস কুসুম গরম পানি।
৩. বিশ্বসেরা পুষ্টিবিদদের মতে, গরম পানি পানে পেট পরিষ্কার থাকে। আর পেট পরিষ্কার থাকলে দেহে সহজে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। সেইসঙ্গে ত্বক থাকে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল।
৫. পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়।
৬. কুসুম গরম পানি পান করলে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। আর ঘামের সঙ্গে দেহে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান বের হয়ে যায়।
৭. দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে কুসুম গরম পানির জুড়ি নেই। নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করলে দেহের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালরি পোড়ে।
৮. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি পানে দেহের টক্সিক উপাদানগুলো সহজেই বাইরে বেরিয়ে যায় এবং দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর দেহের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনিতে রক্ত চলাচলের গতিও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
৯. দীর্ঘদিন ধরে যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা টানা কিছুদিন গরম পানি পান করলে সুফল পাবেন। কারণ গরম পানির সঙ্গে দেহে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায় বলে ব্যথা বোধ ক্রমশ কমে আসে।
১০. নিয়মিত গরম পানি পানে খাওয়ার চাহিদা কিছুটা হলেও কমে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে মেদ ঝরে।