নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অক্সফোর্ড হাইস্কুলের আটক শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও মদদদাতা প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের বিরুদ্ধে ২০ জনের অধিক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। র্যাব-১১ তাদেরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন স্কুলের নির্যাতিত সকল ছাত্রীর পরিবার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করে র্যাব।
র্যাব-১১ এর ডিএডি আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত র্যাবের মামলাটিতে অনৈতিক কাজে মদদ দেয়ার অপরাধে প্রধান শিক্ষককেও আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, আটক শিক্ষক আশরাফুল আরিফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করে ৫ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। আগামীকাল আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান তিনি।
- মৌমাছির আক্রমণে মাঠের সবাই ভূপাতিত!
- জাপানে মোদির সঙ্গে সৌদি যুবরাজের বৈঠক
- সিলেটে অবতরণে ব্যর্থ হয়ে আবার ঢাকায় ফিরল বিমান!
এর আগে বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অবস্থিত অক্সফোর্ড হাইস্কুল থেকে শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে আটক করে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।