বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
তবে তদন্তের স্বার্থে কখন কোথা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা বলতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতাররা হলেন- মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত চারজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিফাত শরীফকে হত্যার পরদিন ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। মামলায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (২৫)। বাকি আসামিরা হলেন মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)।
এরই মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন, ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ১১ নম্বর আসামি অলি ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তানভীর, নাজমুল হাসান, মো. সাগর ও কামরুর হাসান সাইমুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
- গ্যাসের দাম বেড়েছে, কাল থেকে কার্যকর
- ‘ঈমান বাঁচাতে’ অভিনয় ছাড়ছেন জায়রা!
- এরশাদের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।