সাকিব আল হাসান খেলছিলেন একপ্রান্ত আগলে রেখে। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো অন্য প্রান্তে থাকছিলেন না কেউই। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীমের পর সাজঘরে ফিরে যান দুই তরুণ লিটন কুমার দাস এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বনে যাওয়া সাকিবও এগুতে পারেননি বেশিদূর। ইনিংসের ৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে হার্দিক পান্ডিয়ার করা স্লোয়ার ডেলিভারিটি বুঝতে পারেননি চলতি বিশ্বকাপে সপ্তম ম্যাচে ৬ষ্ঠ ফিফটি করা সাকিব। ধরে পড়েছেন শর্ট কভারে দাঁড়ানো দিনেশ কার্তিকের হাতে।
সাজঘরে ফেরার আগে ৬ চারের মারে ৭৪ বলে ৬৬ রান করেছেন সাকিব। ভারতের করা ৩১৪ রানের জবাবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮.১ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৯ রান।
৩১৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটি মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিল। কিন্তু সেট হয়ে আউট হয়ে যান তামিম। চলতি বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে ফেলা বাঁহাতি এই ওপেনার দেখেশুনে ২২ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি।
তামিম ফেরার পর সৌম্যকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৩৫ রানের জুটিটি ভাঙে হার্দিক পান্ডিয়ার করা ১৬তম ওভারের প্রথম বলে, সৌম্যর ভুল শটে।
হার্দিক পান্ডিয়াকে এক্সট্রা কভারে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির সহজ ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য। তাতেই অপমৃত্যু ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে গড়া তার ৩৩ রানের আশা জাগানিয়া ইনিংসের।
সৌম্য ফিরে গেলেও দলের ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ, মুশফিকুর রহীম দারুণ স্বচ্ছন্দ্যেই শুরুটা করেছিলেন। ২৩ বলেই ৩ বাউন্ডারিতে ২৪ রান তুলে ফেলা এই ব্যাটসম্যান হঠাৎ সুইপ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে মিডউইকেটে মোহাম্মদ শামির ক্যাচ হন তিনি।
মুশফিকের দেখানো পথ ধরে দারুণ খেলছিলেন লিটন কুমার দাসও। কিন্তু সুখ যেনো বেশিক্ষণ সয়নি তার। তাই তো হার্দিক পান্ডিয়ার করা ৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকানোর এক বল পরেই পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়ানো দিনেশ কার্তিকের হাতে।
- হজ নিয়ে ব্যবসা না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- দুর্বল অর্থনীতির উদ্বেগ নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা প্রস্তাব
আউট হওয়ার আগে ২৪ বল থেকে ২২ রান করেন লিটন। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ৩৩তম ওভারে দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় জাসপ্রিত বুমরাহর স্লোয়ার ডেলিভারিকে থার্ডম্যানে গ্লাইড করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ৭ বলে ৩ রান করা মোসাদ্দেক।