বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হিরা আক্তার (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার বিবস্ত্র মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠেছে।
এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ যুবককে আটক করেছে।
আটকরা হলেন- মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে ওসমান সিকদার (২৪), পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের আলম মৃধার ছেলে শাহিন (১৯) ও সোবাহান মৃধার ছেলে রফিকুল মৃধা (১৯)।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহত মাদরাসাছাত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হিরা ছাপড়াখালী গাজীরঘাট দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর গাউস শেখের মেয়ে।
নিহত মাদরাসাছাত্রীর বাবা গাউস শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী পারিবারিক কাজে বাগেরহাট শহরে যান। এ সময় আমি ও আমার মেয়ে হিরা আক্তার বাড়িতে ছিলাম। মঙ্গলবার বিকেলে আমি মেয়ে হিরাকে বাড়িতে একা রেখে কেনাকাটা করতে বাড়ির বাইরে যাই। সেখান থেকে ফিরে রাতে এসে দেখি আমার মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলানো। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
- এরশাদের কবর নিয়ে জাতীয় পার্টিতে আলোচনা!
- নুসরাতকে যৌন হয়রানির মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল
- শ্রীপুরে স্পিনিং কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাতেই বাগেরহাট পিবিআইয়ের একটি এক্সপার্ট টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে নগ্ন অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কারা কী কারণে এই মেয়েটিকে হত্যা করল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।