ফরহাদ হত্যা মামলার মূল আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট

রমজান আলী (ফাইল ছবি)

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে বাড্ডা এলাকার সাতারপুল নামক স্থানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ পাশে প্রজাপতি হাউজিং এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত রমজান আলী ওরফে রমজান মিয়া (৩৬) বাড্ডার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, রাত ৩টার দিকে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর গুলি বন্দুকযুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ফরহাদ হোসেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রমজান। বাড্ডা এলাকায় ২০১৫ সালে গামা হত্যা মামলারও (ত্রিপল মার্ডার) প্রধান আসামি ছিলেন রমজান। ফরহাদ হত্যার পর রমজান ভারতে পালিয়ে যান। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ বাড্ডা এলাকায় যে গরুর হাট বসবে এটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য গত জুন মাসে তিনি দেশে ফেরেন। গরুর হাটকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ফরহাদের বড় ছেলেসহ আরও কয়েকজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, রমজানের ফিরে আসার খবরে মঙ্গলবার রাতে ডিবির একটি দল সাতারপুল এলাকায় যায়। সাতারপুলের বালুর মাঠ এলাকার ফাঁকা জায়গায় গেলে একদল দুর্বৃত্ত ডিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ডিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলি থেমে গেলে আশপাশে বাসাবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে এলাকা তল্লাশি করে ডিবি। পরে প্রজাপতি হাউজিং এলাকায় গিয়ে রমজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে ডিবি পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রমজানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বছরের ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ১নং লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসা বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রমজান। ফরহাদ হত্যার আরও দুজন পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তারা হলেন তেজগাঁওয়ের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিক ও গুলিস্তান এলাকার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে