হজ ফ্লাইটের সার্ভার জটিলতা কাটিয়ে শুরু হয়েছে হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে সার্ভার জটিলতা কেটে যায়।
এর আগে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট শুরুর দিন গতকাল সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময় সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনসের মোট সাতটি ফ্লাইটের একটিরও সৌদি ইমিগ্রেশন করা যায়নি।
বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার শুক্রবার সকালে বলেন, রাত থেকে সৌদি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিমানের ডেটিগেটেড হজ ফ্লাইটের যাত্রীরা এই সুবিধা পাবেন।
জানা গেছে, সার্ভারজনিত সমস্যাটি সৌদি আরব থেকে হচ্ছিল, বাংলাদেশে নয়।
বাংলাদেশের হজযাত্রীদের বেশির ভাগই বয়স্ক নাগরিক। হজের উদ্দেশে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর পর তাদের মালামাল সংগ্রহ ও ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শেষ করে তারা মালামাল নিয়ে ওখানকার নির্দিষ্ট স্থানে ওঠেন। সৌদি আরবে হজের সময় সারা বিশ্ব থেকে অনেক মানুষ আসে। ফলে ইমিগ্রেশনের ওপর চাপ পড়ে। সব বিবেচনা করে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন-প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য সৌদি আরব থেকে প্রতিনিধিদল এসেছে, তারা বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে বসেছে। এবার ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। এতে বিপুলসংখ্যক হজযাত্রীকে জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের যে কার্যক্রম আছে, তা আশকোনা হজ ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হচ্ছে।