বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর উচ্ছেদ অভিযানের ৪১তম দিনে বুড়িগঙ্গা তীরে আরও ১১৯টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রায় এক একর জায়গা।
আজ বুধবার বাবুবাজার ব্রিজ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত নদীর উভয় তীর অভিযান চলে। একে একে ভেঙে দেওয়া হয় একটি দোতলা পাকা ভবন, সাতটি একতলা পাকা ভবন, ১৫টি আধা পাকা ভবন, ৬৫টি টিনের ঘর ও ৩১টি দোকান।
অভিযানে ভাঙা স্থাপনা নিলামে বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা আদায় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার শ্মশানঘাট হতে পাগলা অভিমুখে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৩ জুলাই থেকে চতুর্থ পর্বের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটএ। এর আগে অভিযানের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিনে ১৯৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ ও দুই একর জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উদ্ধার হয় দেড় একর জায়গা। তৃতীয় দিন ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে নদী তীরভূমির আরও দেড় একর জায়গা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিন উচ্ছেদ হয়েছে ৪৭টি স্থাপনা এবং আধা একর জায়গা। দ্বিতীয় দিনে উচ্ছেদ হলো আরও ১১৯টি স্থাপনা। এখন পর্যন্ত মোট ৪১ কার্যদিবসে মোট উচ্ছেদ হয়েছে চার হাজার ১৭৮টি স্থাপনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, তিন পর্বে ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট তিন হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।
- ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
- সব সেবা ডিজিটাল হলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না : জয়
- বিকেন্দ্রীকরণ হবে দেশের শাসনব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী
অভিযানে জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরও পাঁচ কোটি দুই লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।
অভিযানে বাধা দেওয়া ও নদী দখলের দায়ে ২২ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলাও হয়েছে।