কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল থেকে আরো পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারডুবির ঘটনায় এ নিয়ে তিনদিনে ১১ জেলের লাশ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া জীবিত উদ্ধার হয়েছেন আরো ২ জেলে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে জেলেদের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো ৫ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে ৩ দিনে ১১ জেলের লাশ উদ্ধার হলো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে হিমছড়ি থেকে ১ জন, মহেশখালীর হোয়ানক উপকূল থেকে ১ জন এবং রাত ১০টা থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতের সমিতি পাড়া থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে মাছ ধরার একটি ট্রলারটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে উদ্ধার হয় ৬ জেলের মরদেহ। ওই ট্রলার থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন আরো ২ জেলে। অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
- আরও পড়ুন, ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষক নিহত
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন- ভোলার চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাসা এলাকার তরিফ মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার নুরু মাঝির ছেলে অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার ফজু হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৫), মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০) ও নজিব ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)। অপর ৫ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৬ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, ট্রলারের মালিক ভোলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার ২ জন এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মনির আহমদ মাঝি সমকালকে জানান, গত ৪ জুলাই ভোলার চরফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে তারা মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা হন। ওই ট্রলারে মোট ১৪ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। গত ৬ জুলাই ভোরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি সাগরে ডুবে যায়। এই ঘটনায় ২ জেলেকে জীবিত এবং ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলো। আরো ১ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।