ডেঙ্গুমুক্ত রাজধানী গড়ে তোলার ঘোষণা মেয়র খোকনের

বিশেষ প্রতিবেদক

মেয়র সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। ফাইল ছবি

শিগগিরই রাজধানীকে ডেঙ্গুমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। এটা মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের মশক নিধন শুরু হয়েছে, পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

শনিবার রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সুমি আক্তারের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসে মেয়র এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। আমরা এর মোকাবেলায় সর্বোচ্চ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামীকাল রোববার থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম পরিচালনা করা হবে। নগরবাসীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। কোনো নাগরিক যদি এ মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারেন, তবে চাইলে আমাকে ফোন করতে পারেন, আমি আমার নাগরিকের জন্য চলে আসবো।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় বসবাস করা একজন নাগরিক (সুমি আক্তার) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, আমি তাকে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্ব থেকে দেখতে এসেছি। তার খোঁজখবর নিয়েছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি, আমরা সবাই মিলে একটি বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলবো। আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমরা মশক নিধন করার চেষ্টা করছি। আশা করি আমরা সফল হবো। তবে এ বিষয়ে সব নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাদের সচেতনতা জরুরি।

ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্তারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা চেয়ে তার স্বামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের রিটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মেয়র বলেন, এটা আইনের বিষয়। একজন নাগরিক রিট করেছেন, এটা নেতিবাচক কিছু নয়। আমাদের আইন বিভাগ এটা দেখছে। যেহেতু আইনের মাধ্যমে এটা মোকাবেলা হবে, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে এখানে আসা আমার নিজ উদ্যোগে, আমার নাগরিক কষ্ট পেলে আমি বসে থাকতে পারি না।

রিটকারী আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, ক্ষতিপূরণ চাওয়া মানেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া নয়। আমি সব নাগরিকের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছি কোর্টে। তবে মেয়রের আন্তরিকতা দেখে আমরা মুগ্ধ। পরবর্তী বিষয় বিবেচনা করে দেখবো আমি মামলা করবো কি-না।

এ সময় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শরিফ মাহমুদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুন ইসলামসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে