ধর্মীয় যেসব কারণে জনপ্রিয় ছিলেন এরশাদ

ডেস্ক রিপোর্ট

এরশাদের শৈশব কাটানো কোচবিহারেও শোক
এইচ এম এরশাদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের দীর্ঘ নয় বছরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজ সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের কাছে ধর্মীয় অনেক বিষয় বিবেচনায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। তার উদ্যোগেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বীকৃতি লাভ করে। এ ছাড়াও মসজিদের বিল মওকুফ ও সরকারি ছুটি শুক্রবার প্রবর্তিত হয়। আর তাতে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

universel cardiac hospital

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে আত্ম-প্রকাশ করেছিল। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিয়েছিল।

বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার বিষয়টি খুব সহজ ছিল না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেখানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম উল্লেখ ছিল না।

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একক ভূমিকায় ১৯৮৮ সালের ৫ জুন ৪র্থ জাতীয় সংসদে ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

ওই সংশোধনীতে সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের ২-এর (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়- ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে।’

৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ আজও বিদ্যমান। যা প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদান।

ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে