নৌ-পথে ভুটান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে পাথর আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান ট্রেডের নবযাত্রার সূচনা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো ভুটান থেকে পাথরবাহী একটি ভারতীয় জাহাজ ধুবরি থেকে যাত্রা শুরু করে ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাটে বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইন্দো বাংলা রুট ব্যবহার করে আসা প্রথম আমদানি করা পাথর গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান ও বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ট্রেডের উদ্বোধন করা হয়।
আসামের ধুবরি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ভুটানের ফুয়েন্ট শোলিং থেকে ট্রাকে করে এনে সেখান থেকে নদীপথে জাহাজের মাধ্যমে এই পাথর আনা হয়েছে। জাহাজটি ১ হাজার মেট্রিকটন পাথর পরিবহন করছে, যা স্থলপথে পরিবহন করতে ৫০টিরও বেশি ট্রাক প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ভুটান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে নদীপথে পাথর আমদানি তিনটি দেশের মধ্যে ট্রেডের নবসূচনা করলো। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত।
তিনি বলেন, আজকের পর বাংলাদেশ-ভারত-ভুটানকে নিয়ে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখতে পারি। আগামী দিনগুলোর বাণিজ্য এভাবেই হওয়া উচিৎ। এতে তিন দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটবে এবং আমরা সেটাকে আরো নতুন ও উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাবো।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টি রাবগি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান একদিকে উপকৃত হবে অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে পরিবহন ও অন্যান্য খরচও কমবে। নদীপথে পরিবহন একটি পরিবেশবান্ধব উপায়।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম বলনে, এটি আমাদের ত্রিদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে এবং আমাদের জাতিগত সংযোগ ও সর্ম্পক বাড়াতে সহায়তা করবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাধীনতার পর আবারো এই নদীপথের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলো। নদীপথের মাধ্যমে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো ও আমাদের মধ্যকার সস্পর্কের উন্নতি সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ড্রেজিং এবং নদীপথের অন্যান্য কার্যক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ভালো অংশীদার। তারা খুবই আন্তরিক। নদীপথের যেকোন সমস্যা সমাধানে সব সময় বিআইডব্লিউটিএ প্রস্তুত আছে এবং এক সাথে কাজ করলে যেকোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব।
বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতিকুর রহমান ও বসুন্ধরা গ্রপের পরিচালক মিসেস সাফওয়ান সোবহান।