গত কয়েকদিনে গণপিটুনিতে কয়েকটি অপ্রত্যাশিত মৃত্যু ঘটার প্রেক্ষাপটে সন্দেহের উপর ভিত্তি করে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
গুজব ছড়ানো এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যে দণ্ডনীয় অপরাধ, সে বিষয়েও নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার এক তথ্য বিবরণীতে গুজব ও গণপিটুনি নিয়ে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী।
তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলছে। এতে ইতোমধ্যে অন্তত ছয়জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক গুজব ছড়িয়ে ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষ পিটিয়ে হতাহত করা সংক্রান্ত খবরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে কোন ধরনের গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি ও গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ।
- বাড্ডায় গণপিটুনিতে হত্যা : তিন আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে
- গুজব-গণপিটুনি বন্ধে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা
- গণপিটুনি জামায়াত-বিএনপির কাজ সন্দেহ আইনমন্ত্রীর
এতে আরও বলা হয়, কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৯৯৯ এ কল করে দ্রুত পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
গুজবে গণপিটুনির ঘটনা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সারাদেশে এসপিদের সতর্ক করা হয়েছে।