কক্সবাজারের চকরিয়ার বহুল আলোচিত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভোট দিতে। তবে ভোটাররা গোপন কক্ষে ভোট দিতে পারছেন না। তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারতে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মাইন উদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলমসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিতের বাইরে অন্য প্রার্থীরা এসব অভিযোগ করেছেন।
আনারস প্রতীকের শাহেদ বলেন, খোন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, পুকপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ছাইরাখালী কেন্দ্র, দিগরপানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ঘুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রাজারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কোনোটিতেই গোপন কক্ষে ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা। অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করছেন সরকারদলীয় প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের এজেন্টরা।
একই অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকের প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা যে কোনো মুহূর্তে কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির জন্য প্রস্তুত। এসব বিষয় মুঠোফোনে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এসব বন্ধে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
আনারস প্রতীকের মাইন উদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ অভিযোগ করে বলেন, এমপি এলাকায় থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। আবার ভোটের আগের রাতে সন্ত্রাসীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন কেন্দ্রে না যেতে। এতে অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। এতে বোঝার বাকি নেই এখানে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য কোনো ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে প্রকাশ্যে ভোট দিতে। আবার খোন্দকার পাড়া, পুকপুকুরিয়া কেন্দ্রে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ব্যালট পেপার।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তার কাছে নেই। এরপরও যেখানে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত ‘মুভ’ করছেন।