হাতিরঝিলে গার্মেন্টস কর্মী দেলোয়ার হত্যায় তিনজনের স্বীকারোক্তি

আইন ও বিচার ডেস্ক

নিহত গার্মেন্টস কর্মী দেলোয়ার
নিহত গার্মেন্টস কর্মী দেলোয়ার ছবি: সংগৃহিত

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় চোর সন্দেহে ইজি ফ্যাশনসসের কর্মী দেলোয়ার হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার এই তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

ওই তিন আসামি হলেন, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তুহিন (৩৮), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আরিফ হোসেন (৩৮) এবং নরসিংদীর পলাশ থানার বিরিন্দা পূর্বপাড়া গ্রামের ইয়াসিন (২২)।

এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন, একটি গার্মেন্টস কারখানার সুপারভাইজার আক্তার হোসেন ও ইলেকট্রিশিয়ান রাজীব।

গত বৃহস্পতিবার হাতিরঝিল থানার মালিবাগের ইজি গার্মেন্টস কারখানায় দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করার অভিযোগ এনে নিহতের মামা আবু তাহের ভূঁইয়া হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ইজি গার্মেন্টস এর চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরীসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আবু তাহের বলেন, তাঁর ভাগনে দেলোয়ার ইজি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ওই কারখানার গেঞ্জি চুরি করার অপরাধে সেদিন ভোর রাত ৫টা থেকে সকাল ১১টার মধ্যে গার্মেন্টসের মধ্যেই দেলোয়ারের হাত-পা বাঁধে আসামিরা। পরে বৈদ্যুতিক শক দেয় আসামিরা। গুরুতর জখম দেলোয়ারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, ইজি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইছাহাক চৌধুরী, পরিচালক তৌহিদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপক আমজাদ চৌধুরী, তৌহিদ চৌধুরীর চালক মাসুদ, মার্কেটিং কর্মকর্তা তুহিন, নাজমুল হোসেন, আরিফ হোসেন ও অফিস সহকারী ইয়াছিন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, দেলোয়ার হোসেন হত্যার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড জড়িত দুই আসামিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এসআই সাকিল জোয়ার্দ্দার বলেন, দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী নিহত দেলোয়ারের মামা আবু তাহের ভূঁইয়া বলেন, নির্যাতন করে তাঁর ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিরা বড়লোক, প্রভাবশালী। এখন পর্যন্ত তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি চান আবু তাহের।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে