রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যেতে সে দেশের পরিস্থিতি বোঝাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে ঘুরে আজ শনিবার দুপুরে এক বৈঠকে বসেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বৈঠক স্থানের পাশেই শত শত রোহিঙ্গা বিক্ষোভ করেন।
এসময় তারা ইংরেজি হরফে লেখা ব্যানার নিয়ে সে দেশে নির্যাতনের বিচার চেয়ে রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে মিয়ানমারে ফিরে যাবার স্লোগান দেন।
এর আগে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে দুপুর ১টার দিকে তারা উখিয়ার এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এ পৌঁছলে, সেখানে ঘুরে দেখে বৈঠকে বসেন রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে। প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকে বিভিন্ন আলোচনা হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, মিয়ানমার প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির শিবির ঘুরে বৈঠকে বসেন রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকে উভয় পক্ষে বিভিন্ন আলোচনা চলছিল। সে সময় হঠাৎ করে একটু দূরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
- আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের স্পিন কোচ ভেট্টরি, পেস ল্যাঙ্গেভেল্ট
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নুর আলম ও আমির হোসেন বলেন, মিয়ানমার প্রতিনিধি দল নাটক করতে এসেছে। আমরা অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। তবে ফেরত পাঠানোর আগে মিয়ানমারে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন, রোহিঙ্গা পরিচয়ে নাগরিকত্ব, নিজ বাড়ি, জমি ও গ্রামে ফেরার নিশ্চয়তা, মিয়ানমারের অন্য জাতিগোষ্ঠীর মতো সমান মর্যাদা দেওয়া, হত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধনের বিচার করতে হবে। এসব দাবি না মানলে ফিরতে চাই না।
বৈঠকে চার দফা আলোচনা
প্রত্যবাসান বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোহিঙ্গা নেতাদের দুই ঘণ্টা বৈঠকে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেগুলো হচ্ছে, ১. রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংলাপ ২. নাগরিকত্বা ৩. নিরাপত্তা ৪ বাড়ি-ঘর ফেরত।
বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ৩০ জন নেতা ছিল। সেখানে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে বৈঠকে চার দফা ওই দাবিগুলো তোলা হলে, জবাবে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের প্রধান পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, ফেরত গেলে তাদের আগের পুরানো বাড়ি ঘরে উঠতে পারবে। যাদের ঘর-বাড়ি নেই তাদেরকে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।