রাজধানী ঢাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু রোগ। আক্রান্তদের বেশিরভাগ সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু ঠেকাতে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আক্রান্তদের রাজধানী থেকে বাইরে না যাওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।
শনিবার পর্যন্ত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়া বগুড়ায় ৪৫ জন, বরিশালে ২৭, ফেনীতে ২৬, চাঁদপুরে ২২, রংপুরে ২১, কিশোরগঞ্জে ৬০ এবং মানিকগঞ্জে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝিনাইদহে ১২, গোপালগঞ্জে ৪, লক্ষ্মীপুরে ৮, নওগাঁয় ২, যশোরে ১৯ ও বরগুনায় ১০ জনসহ আরো শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ রোগী রাজধানী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজ জেলায় এসেছেন।
এদিকে, ডেঙ্গু ঠেকাতে সচেতনতার পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীদের রাজধানী ঢাকার বাইরে নিজ জেলায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
- আরও পড়ুন >> ভারতে বন্যায় ট্রেন আটকা : সহস্রাধিক মানুষ উদ্ধার
রাজধানীতে গত ২ সপ্তাহ ধরে আশংকাজনকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তবে এখন আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিশেষত ডেঙ্গু ভালো হওয়ার পর ২/৩ সপ্তাহ ঢাকা থেকে বের হয়ে বাড়ি না যাওয়াই ভালো।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, আঙিনার আশপাশ পরিস্কার রাখেন, টবের পানি পরিস্কার করেন, তিনদিনের বেশি কোথাও পানি ধরে রাখবেন না, নারিকেলের খোলা, পানির বোতল যত্রতত্র ফেলবেন না, এগুলো খেয়াল রাখলে আপনারা বাঁচবেন, বাংলাদেশ বাঁচবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ২শ রোগী আক্রান্ত হয়। তবে চলতি বছর সব রেকর্ড ভেঙে জুলাই মাসের মধ্যেই তা সাড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।