‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল। খুনিদের বিচারের মাধ্যমে জাতি তার কলঙ্কের দায় কিছুটা হলেও লাঘব করেছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।
১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ প্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদর্শন ও উন্নয়ন কৌশল আজও আমাদের কাছে জাজ্বল্যমান। তার নীতি, আদর্শ ও কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশকে উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। বিদেশিরা বলছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ম্যাজিক বাংলাদেশ গড়ছেন। এ ম্যাজিক অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে আমাদের। এ যাত্রা যেন থেমে না যায়। গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
দূতাবাসের প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
হাইকমিশনার শহীদুল. ইসলামের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় কোরআন তেলাওয়াত শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এ দিনে সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
দূতাবাসের প্রথম সচিব বাণিজ্যিক মো. রাজিবুল আহসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলার মো. জহিরুল ইসলাম।
আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।