ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের অচলাবস্থা নিরসনে বেশকিছু জায়গায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার পর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আবার তা বন্ধ করে দিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, শনিবার রাতে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সংঘর্ষের জেরে উপত্যকাজুড়ে ফের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার থেকে জম্মুর কয়েকটি এলাকায় কারফিউ শিথিল এবং ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিসেবা আংশিকভাবে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কারফিউ শিথিলের পর শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ হয়েছে।
এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। রাজধানী শ্রীনগরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড বসায় ভারত সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিসেবা। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুর, ও রিয়াসি- এই পাঁচটি জেলায় টুজি ইন্টারনেট এবং টেলিফোন পরিসেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় প্রশাসনের দাবি, ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং বিক্ষোভ দমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বিগত ১৪ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রয়েছে। আগে থেকে মোতায়েন ৫ লাখ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ করা আরও প্রায় ৩৫ হাজার সেনা-পুলিশ। ইন্টারনেট এবং ফোন পরিসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। কাঁটাতার আর ব্যারিকেড ফেলে বন্ধ করা হয় সব রাস্তাঘাট।
নিষিদ্ধ করা হয় বিক্ষোভ-সমাবেশ। গত বুধবার জম্মুতে কারফিউ ও কড়াকড়ি সম্পূর্ণ তুলে নেয়া হয়। শনিবার থেকে ওই পাঁচটি জেলায় টুজি ইন্টারনেট সেবাও চালু হয়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
- ডেঙ্গু নিধনে মানসিকতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে : হাইকোর্ট
- সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ
জম্মুতে নিযুক্ত সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসাল জানান, কারফিউ শিথিলের পর শুধু শনিবারেই ৬ জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষে আহতও হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়। মূলত বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা থেকে কাশ্মীরকে ‘খাঁচাবন্দি’ করে রাখা হয়েছে।