সরকার দেশের যুব সমাজকে কর্মমুখী করে তোলার জন্য ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা নামে তিনটি বই প্রণয়নে ইতোমধ্যে সিলেবাসের কাজ শেষ হয়েছে। এ বই তিনটি ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে।
আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকের কার্যপত্রে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, একে এম শাহাজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশ নেন।
বৈঠকে এ বিষয়ে আরও জানানো হয়, সাধারণ শিক্ষা ধারার (বিদ্যালয় ও মাদরাসা) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালের মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাক-বৃত্তিমূলক ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করার লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি সভা করেছে। নবম-দশম শ্রেণির (বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা) শাখায় কারিগরি শিক্ষার বই বাধ্যতামূলক করার জন্য এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত সিলেবাস তৈরির জন্য প্রাথমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২ মে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্যের (কারিকুলাম) সভাপতিত্বে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাক বৃত্তিমূলক ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেট চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
- নির্দোষ জাহালমের সাজা : দুদকের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
- পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরের সূচি চূড়ান্ত
- কাশ্মীর সংকট : উত্তেজনা না বাড়াতে পাকিস্তানকে ফ্রান্সের আহ্বান
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কমিটি প্রতিটি শ্রেণিতে প্রতি বছরের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় কিনা তা মনিটরিং করার সুপারিশ করে। প্রতিটি উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিভিন্ন দফতরের প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।