সব প্রস্তুতি নিয়েও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বিতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকার নয়া পল্টনে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার কিচ্ছু করতে পারেনি, কিছুই পারেনি। এদের বিষয়ে এতদিন হয়ে গেল, আপনারা (সরকার) একজনকেও ফেরত পাঠাতে পারলেন না!
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, এই ব্যর্থতা তো চরম ব্যর্থতা। আপনারা কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
গতবছর নভেম্বর প্রথম দফার চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য ২২ অগাস্ট দিন ঠিক হয়েছিল।
কিন্তু নাগরিকত্বসহ চারটি শর্তের কথা তুলে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন রোহিঙ্গাদের এই অনাগ্রহকে ‘দুঃখজনক’ বলেছেন। তিনি বলেছেন, এখন তারা যে সুখে আছে, তা বেশিদিন থাকবে না। এরই মধ্যে টাকা-পয়সা কমছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা কাজ করছে তারাও কঠোর হবে।
ওই বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, একজনকেও আপনারা প্রত্যাবাসন করতে পারেননি। তারপরে আবার ধমক দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাহ! এত দিন ধরে… আপনাদের নাকি এত বন্ধু আছে, তারা কেউ কিছু করতে পারল না আপনাদের জন্য। অথচ এই যে এতোগুলো মানুষের চাপ বাংলাদেশের সহ্য করতে হচ্ছে…।
সরকার কেবল কূটনৈতিকভাবে নয়, দেশের অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা সামাল দিতেও ‘ব্যর্থ হয়েছে’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই সরকারের পতন তরান্বিত করতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়েই এই দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ পাবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে এদিন নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই মিছিল ও সমাবেশ হয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন রিজভী। মিছিল থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়।