রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও তারা পাঠাতে পারেনি। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সরকার মিয়ানমারের কাছে নতিস্বীকার করেছে। তাদের ফর্মুলা অনুযায়ী সরকার কাজ করেছে।
শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান করতে হলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। আমরা শুরুতেই বলেছিলাম দরকার হলে সরকারপ্রধানকে অতি দ্রুত মিয়ানমারকে যে সব দেশ সমর্থন করছে সে সব দেশ সফর করতে হবে। তারা আজ পর্যন্ত তা করেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি ২১ আগস্ট হামলা-মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওই ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে মামলায় এজাহারভুক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আমরা মনে করি, তার চিকিৎসার উন্নতি যতটা হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি জানাই।
- কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা দুই বছরে ৪৩ হত্যা মামলার আসামি
- তারেককে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে : ওবায়দুল কাদের
এর আগে বিকাল ৫টা থেকে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
লন্ডন থেকে বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন।