শেরপুরে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল
ছবি : সংগৃহিত

জেলার প্রায় ১৬ লাখ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি শেষ হয়েছে শেরপুরে ২৫০ শয্যার ৮তলা সদর হাসপাতাল ভবনের কাজ। বর্তমানে ভবনটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নবনির্মিত এই ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলে অবহেলিত শেরপুরের মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শেরপুর টাউনের নারায়ণপুর এলাকায় জেলা সদর হাসপাতালের পাশে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ একর ১০ শতাংশ জমির ওপর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৮তলা সদর হাসপাতালের দৃষ্টিনন্দন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ করেছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ।

জেলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সম্প্রসারিত এই নতুন ভবনে আইসিইউ ও সিসিইউসহ আধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভবনটি হস্তান্তরের জন্য সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার পর ভবন হস্তান্তর করলেই জনগণ প্রকৃত সেবা ভোগ করতে পারবেন।

শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, এতদিন জেলা সদর হাসপাতালটি ছিল ১০০ শয্যার হাসপাতাল। এই ভবনটি নির্মিত হওয়ার ফলে মানুষের সেবা আরও বাড়বে এবং শেরপুরে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে বলে আশা রাখছি।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. মামুন জোশ বলেন, শেরপুর ১০০ শয্যার হাসপাতাল থেকে সম্প্রসারিত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু হলে সারা জেলার জনগণ বিশেষ করে রোগীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।

বিএমএ শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাদিম হাসান বলেন, আমাদের জেলায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবন হয়েছে। আগে ১০০ শয্যার হাসপাতাল ছিল। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগীর প্রচণ্ড চাপ।

এতদিন ১০০ বেডের বিপরীতে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ভর্তি থাকার ফলে অধিকাংশ রোগীকে বেড ছাড়া নিচে ফ্লোরে দিতে হতো। যেটা অমানবিক। নতুন ভবন হওয়ার ফলে আশা করি অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে। রোগীরা নতুন ভবনের সুবিধাদি ভোগ করতে পারবে।

শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. রেজাউল করিম বলেন, নতুন ভবনটি চালু হলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে সুন্দর পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে