হিজাব পরা নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন ইলহান ওমর

ডেস্ক রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নারী আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নারী আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নারী আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর হিজাব বা পর্দা কখনোই ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। হিজাব পরিধানের বিষয়ে বরাবরই সমালোচনার শিকার হয়ে আসছেন মার্কিন কংগ্রেসের এই সদস্য। হিজাব কেন পরেন সে বিষয়ে এবার স্পষ্ট বক্তব্য জানালেন তিনি।

রোববার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইলহান ওমর লেখেন, হিজাবকে আমি এক ধরনের প্রতিরোধ হিসেবে নিয়েছি। তবে বিষয়টি সব সময় খুব সহজ নয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হিজাব পরিধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (অবশ্য পালনীয়)। তবে আমি শুধু ধর্মীয় নিয়ম যথাযথ পালনের উদ্দেশে হিজাব পরি এমনটি নয়। হিজাব পরে আমি আনন্দও পাই।

universel cardiac hospital

নিজের হিজাব পরার বিষয়টি নিয়ে এর আগেও টুইট করেছিলেন ইলহান ওমর।

গতবছরের শেষ দিকে কংগ্রেসে হিজাব পরে প্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি টুইট করেছিলেন, কেউ এসে আমাকে হিজাব পরিয়ে দেননি। আমি নিজেই পরেছি। এটি আমার পছন্দ, যেটি প্রথম সংশোধনীতে সুরক্ষিত।

তবে ইলহান ওমরের রোববারের ওই টুইটের পর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের রিটুইট করছে যুক্তরাষ্ট্রের নেটিজেনরা। অনেকে তার এমন সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানালেও বেশ কয়েকজন তাকে নিয়ে ট্রল ও মিমে মেতেছেন।

উল্লেখ্য, ইলহান ওমর হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার নির্বাচিত দুই মুসলিম নারীর একজন যিনি হিজাব পরে কংগ্রেসে হাজির হন।

হিজাব পরে কংগ্রেসে প্রবেশ ও কোরআনে হাত রেখে শপথ নিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একপেশে নীতির বিরোধিতা করে আলোচিত হন ইলহান। গতবছর ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে উল্লেখ করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন কংগ্রেসম্যান ইলহান ওমরের জন্মস্থান সোমালিয়ায়। সোমালিয়া থেকে কিশোর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন তিনি।

২০১৬ সালে মিনেসোটার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য নির্বাচিত হন এই নারী। অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করেন তিনি।

ইসরায়েল ও মার্কিন রাজনীতিতে ইসরায়েলি লবির প্রভাব নিয়ে সমালোচনা করায় কয়েক সপ্তাহ আগে নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে ও বাইরে তোপের মুখে পড়েন ইলহান ওমর। তবে ডেমোক্র্যাটরা ইলহান ওমরের পাশে রয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে