চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন এবং শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরেকজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন– চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকির ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন (২৪) এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল এলাকার মো. সিরাজ প্রকাশ সিরাজ ফকিরের ছেলে মো. ইরান (৩৫)।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, রোকন একজন শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্য। আর ইরান স্থানীয় কুখ্যাত জলদস্যু বাহিনীর সদস্য।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, জয়রামপুর কাঁঠালতলা এলাকার করিম মণ্ডলের বাঁশবাগানে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে সেখানে রোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, এক বস্তা ফেনসিডিল ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
এদিকে, র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাশকুর রহমান জানান, বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল এলাকায় র্যাবের একটি টহল দলের সঙ্গে জলদস্যুদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। খোঁজ নিয়ে র্যাব সদস্যরা জানতে পারেন লাশটি জলদস্যু ইরানের। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।