জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছর দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আবারও হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি দাখিল করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
এর আগে ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানিকালে স্থগিত করে এ মামলার যাবতীয় নথি দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। গত ২৮ জুলাই এ মামলায় জামিন চেয়ে প্রথমবারের মতো আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এর পর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামিন ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৬০২ নম্বর ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
- বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত নোট বাজারে ছাড়েনি
- রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে : রিজভী
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।